হেলদি, স্মুথ ও শাইনি চুল রাখার জন্য আমাদের চেষ্টার কোনো শেষ নেই। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন হেয়ার প্রবলেমস এর কারণে আমাদের চুলের ন্যাচারাল শাইন হারিয়ে যায় এবং তখন চুল দেখতেও অনেকটা ড্যামেজড লাগে।
আজকের আর্টিকেলে জানাবো চুল ভেজা অবস্থায় কিভাবে যত্ন নেয়া উচিত!
তাই লেখাটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকুন!
👉ভেজা অবস্থায় চুল না আঁচড়ানো–
ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া খুব দুর্বল থাকে। ফলে চুল পড়ার হার বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আগা ফাটা, চুল ঝরা কিংবা চুল ফ্রিজি হয়ে যাওয়ার মতো দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি ভেজা অবস্থায় আপনার চুলে হাত দেওয়াও উচিত নয়। তাই চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর জন্য আগে ভালোভাবে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করে নেয়াই উত্তম।
👉ভেজা চুল নিয়ে ঘুমানো উচিত নয়–
ভেজা চুল নিয়ে কোনোভাবেই ঘুমানো উচিত নয়। কারণ এর ফলেও আপনার চুলের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। ভেজা চুলে ঘুমালে চুল ভেঙে যেতে পারে, এমনকি চুল ড্যামেজও হতে পারে। যদি একান্তই ঘুমানোর আগে চুল ধুয়ে থাকেন তবে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে হলেও অন্তত চুল শুকিয়ে ঘুমানো উচিত। তবে বাতাসে চুল শুকিয়ে ঘুমাতে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো।
👉চুল ভেজা অবস্থায় বাঁধা যাবেনা–
ভেজা চুল বেঁধে নেয়ার প্রবণতা অনেক নারীর মাঝেই দেখা যায়। খুব দ্রুত কোনো অনুষ্ঠানে যেতে হচ্ছে কিংবা অফিসে যাওয়ার তাড়া! যেকারনে ভেজা অবস্থাতেই চুল বেঁধে ফেলেন অনেকে। চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে, এই অভ্যাসটাও ত্যাগ করা দরকার। কারণ ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া খুব দুর্বল থাকে। তাই ভেজা চুল বেঁধে রাখলে চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর চুলের গোড়ার গ্রন্থিগুলোর উপর চাপ বাড়ে। ভেজা চুলে বেণী কিংবা ঝুঁটিও করা উচিত নয়। এতে চুলে গিঁট লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
👉তোয়ালে দিয়ে চুলে না ঘষা–
কমবেশি আমাদের সকলেরই ধারণা থাকে, তোয়ালে দিয়ে যত জোর দিয়ে ঘষা যায়, চুল তত দ্রুত শুকাবে। ধারণাটা সঠিক হলেও, এর ফলাফল খুব বেশি সুখকর নয়। ভেজা চুলের গোড়া অত্যন্ত দুর্বল থাকায় তোয়ালে দিয়ে জোরে ভেজা চুল ঘষলে চুলের গোড়ার দিকের কোষগুলোতেও চাপ পড়ে। এক্ষেত্রে অবশ্য আপনার ব্যবহার্য তোয়ালে নিয়েও কিছুটা ভাবার প্রয়োজন আছে। এ কারণে ঠিক কী কাপড়ের আর কোন ধরণের তোয়ালে ব্যবহার করছেন, সেটাও বুঝে নেয়া দরকার। সবচেয়ে ভালো পন্থা, মাইক্রোফাইবার তোয়ালে দিয়ে আলতো হাতে চাপ দিয়ে চুলের বাড়তি পানি শুকিয়ে নেওয়া এবং এরপর বাতাসে চুল শুকাতে দেওয়া।
👉হিট না দেওয়া–
চুলের ফ্যাশনের জন্য বর্তমান সময়ে হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার স্ট্রেইটনার ইত্যাদি সরঞ্জামগুলোর ব্যবহার অনেক বেশি বেড়েছে। তবে সময় আর শ্রম সাশ্রয় করে দেয়া এসব জিনিসের ক্ষতিকর দিকও কিন্তু নেহায়েত কম নয়। ব্যস্ততার এই সময়ে অনেকেই এসব সরঞ্জামগুলোর প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে উঠেন। আর যদি আপনার নিজেরও এই ধরণের কোনো অভ্যাস থাকে, তবে তা আপনার জন্য ভালো নয়।
চুলের যত্নে আমরা যতকিছুই করি না কেন, যদি ভেজা চুলেই সঠিক নিয়ম মেনে না চলি, তাহলে কখনোই চুল হেলদি থাকবে না। এতে করে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
এই স্টেপ গুলো ফলো করে সহজেই চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই!