কোন কোন উপাদান প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে!
রুপচর্চার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করা। অনেকে মনে করেন, আরে ত্বকতো প্রতিদিনই ফেইস ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করা হয়, আবার নতুন করে কি পরিষ্কার করবো? কিন্তু আপনি জানেন কি, ত্বক পরিষ্কারের উপর ত্বকের সুস্থতা নির্ভর করে? আজকে আমরা জানবো ত্বকে যত্নে ক্লিনজিং এই ধাপটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ!
চলুন প্রথমে জেনে নেয়া যাক কখন ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত-
১. সকাল এবং রাতে ত্বক ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করুন। বিশেষ করে মেকআপ করার পর অবশ্যই ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করে নিবেন।
২. সপ্তাহে একবার ত্বক এক্সফলিয়েট করুন ভালো কোনো স্ক্রাব দিয়ে। এক্ষেত্রে ন্যাচারাল স্ক্রাবার ব্যবহার করলে ভালো হয়।
৩. স্কিন মাস্ক সপ্তাহে এক বা দুইবার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে এক্সফলিয়েশন-এর পর ত্বকে একটি ফেইস প্যাক ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে মুলতানি মাটির গুড়া, কস্তুরি হলুদ, নিম, বিটরুট এবং শসার গুড়া দিয়ে বানানো ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বক পরিষ্কার করতে সাধারণত সবাই ক্লিনজার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সব ক্লিনজার ত্বকের ভিতর থেকে ময়লা দূর করে না, আবার কিছু কিছু ক্লিনজার ত্বক শুষ্ক করে তোলে। বিভিন্ন কারণে বেশির ভাগ মানুষ প্রাকৃতিক ক্লিনজার ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন।
চলুন জেনে নিই কোন কোন উপাদান গুলো প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে!
১. টকদই
টকদই নরমাল ত্বকে বেশ ভালো কার্যকরি। ১ টেবিল চামচ টকদই নিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে ব্যবহার করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধু ত্বক পরিষ্কার করবে তা কিন্তু নয়, ত্বকের কালো দাগ দূর করতেও টকদই বেশ কার্যকরী।
নরমাল ত্বকের জন্য টকদই এবং মধু একটি আর্দশ ফেইস প্যাক। দুই চা চামচ টকদই এবং এক চা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি ত্বকে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে লাগান। প্যাকটি ২-৩ মিনিট ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
২. ডিম এবং মধু খুব ভালো প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। সব ধরনের ত্বকের এটি ভালো ফেস প্যাক / ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। ১ টি ডিমের সম্পূর্ণ সাদা অংশ এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাকটি বানিয়ে ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক পরিষ্কার করার সাথে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
৩. কফি এবং চিনিঃ
১ চা চামচ কফি এবং হাফ চা চামচ চিনি মিশিয়ে আলতো ভাবে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক ব্রাইটও হবে এবং ডেডসেল দূর করে ডিপক্লিন করতে সাহায্য করবে।
এভাবেই ঘরোয়া উপায়ে হাতের নাগালে থাকা উপাদান দিয়ে সহজেই ক্লিন করতে পারেন ফলে ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং লাবন্যময়ী।